নয়া দিল্লি/ইসলামাবাদ:
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার পুরনো বৈরিতা আবারও নতুন মাত্রা পেয়েছে কাশ্মীর ইস্যু ঘিরে। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে একাধিক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় উভয় দেশ একে অপরকে দোষারোপ করছে। সীমান্তে নতুন করে সেনা মোতায়েন এবং কূটনৈতিক মন্তব্যের মাধ্যমে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসীরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে, এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী তা সফলভাবে প্রতিহত করেছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান বলছে, ভারতীয় বাহিনী তাদের সীমান্তে গুলি চালিয়ে বেসামরিক মানুষের ক্ষতি করেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

এদিকে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব এক বিবৃতিতে বলেন, “উভয় দেশের উচিত সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা, সামরিক শক্তি প্রদর্শন নয়।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকে কাশ্মীর ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। বাণিজ্য, কূটনীতি এবং ক্রীড়াক্ষেত্রেও দুই দেশের সম্পর্ক এখন প্রায় শূন্যে এসে ঠেকেছে।

তবে কিছু মানবাধিকার সংস্থা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা আশাবাদী যে, উভয় দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব আলোচনার টেবিলে বসে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজবে। সীমান্তের সাধারণ মানুষ এই সংঘাতের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী, যারা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

উপসংহার:
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্তেজনা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। উভয় দেশের উচিত শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা এবং সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষাকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া।