পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষ
সোনাগাজীতে গ্রেপ্তার চার, যুবদল-ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত: ৮:০৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২২

<span style='color:#ff0000;font-size:20px;'>পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষ </span> <br/> সোনাগাজীতে গ্রেপ্তার চার, যুবদল-ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

নিউ সিলেট রিপোর্ট : ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় চার বিএনপির কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে পৌর শহরসহ উপজেলা চর সাহাভিকারী ও সোনাপুর এলাকা থেকে পুলিশের করা দুই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে গত দুই দিন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৫জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল রাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি সৈয়দ আলম ভূঁইয়া, যুবদলের কর্মী আবদুল হালিম, আবদুর রহমান ও কেফায়েত উল্যাহ। এর আগে গত সোমবার রাতে উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকা থেকে যুবদলকর্মী মো. রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় গতকাল রাতে পুলিশের একাধিক দল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পৌরশহর থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি সৈয়দ আলম ভূঁইয়া, সোনাপুর থেকে কেফায়েত উল্যাহ এবং উপজেলার চর সাহাভিকারী থেকে আবদুল হালিম ও তার ভাই আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন। দাগনভূঞায় মিন্টুর গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে গতকাল রাতে পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও বাড়ি বাড়ি তল্লাশির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলা উদ্দিন বলেন, ক্ষমতাসীন দলকে খুশি করতে পুলিশ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও অভিযানের নামে হয়রানি শুরু করেছে। গত দুই দিনে সোনাগাজী উপজেলা থেকে পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি সৈয়দ আলম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। তিনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। অবিলম্বে গ্রেপ্তার সব নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে পৌরশহরের ভৈরব রাস্তার মোড় এলাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়া ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে দলের দুই নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিকেল ৫টার দিকে বিএনপির সমাবেশ শেষে পুলিশ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬০টি শটগানের ফাঁকা গুলি, টিয়ারগ্যাস ও বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটনায়।



This post has been seen 114 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১