জনসমর্থনহীন বলেই সরকার কোনো কাজ করতে পারেনি : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২

জনসমর্থনহীন বলেই সরকার কোনো কাজ করতে পারেনি : মির্জা ফখরুল

নিউ সিলেট ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ‘জনসমর্থনহীন’ বলেই ভারতের সাথে অভিন্ন সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারছে না। ভারতের সাথে আমাদের যে অভিন্ন সমস্যাগুলো আছে, অভিন্ন নদীর পানি বন্টন, সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা এবং অন্যান্য যে সমস্যাগুলো আছে তার সমাধান বাংলাদেশ সরকার এখনো পর্যন্ত করতে পারেনি। পারেনি কারণ ওদের পেছনে জনগণের সমর্থন নেই। সেজন্য এখন পর্যন্ত সেই শক্তি নিয়ে এই সরকার কোনো কাজ করতে পারেনি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন এবং মরহুম নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। শ্রদ্ধা নিবেদ ও মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি গতকালও বলেছি, উনি (শেখ হাসিনা) যতবার গেছেন, আমাদের অনেক আশা দিয়ে গেছেন। এই তিস্তা চুক্তি সই হবে, ওমুক হবে, তমুক হবে- এখন পর্যন্ত কোনোটাই হয় নাই। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, একশ’ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছিলো সেটারও আপনার ৩০% মাত্র কাজ হয়েছে। আর কোনো কাজ হয়নি। এই বিষয়গুলো নির্ভর করে জনগণের শক্তির উপরে। জনগণ যদি এই সরকারকে সমর্থন দিতো তাহলে প্রত্যেকটি কাজই ইতোমধ্যে হয়ে যেতো। আমি আবারো বলছি, উনি ফিরে আসুন, কী কী আনছেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য- সেটাই হবে এই সফরের সাফল্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি যে, এই সরকার যেহেতু জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়, যেহেতু জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে তারা সরকারে আসে নাই। সুতরাং তাদের পক্ষে বর্হিবিশ্বে কোনো চুক্তি করা, বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের স্বার্থকে রক্ষা করা অত্যন্ত দুরহ কাজ। এটা আমরা লক্ষ্য করেছি মিয়ানমারের ক্ষেত্রে। এখন পর্যন্ত মিয়ানমারে এই সরকার কোনো ব্রেক থ্রো করতে পারে নাই। ‘আরো ভয়াবহ কাণ্ড হচ্ছে যে মিয়ানমার বার বার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে বিনষ্ট করে মর্টার মারছে, গোলা মারছে। কিন্তু সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে একটি প্রতিক্রিয়া ছাড়া কোনো কিছু করার সাধ্য তাদের নেই।’
তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। কারণ এই নির্বাচন কমিশনকে আমরা মানি না। আমরা বলেছি যে, এই কমিশনটাও ছিলো সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক। কারণ আমরা বার বার বলে এসেছি যে নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন হবে না। ‘নির্বাচন করতে হলে এখানে একটা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে যদি নির্দলীয় সরকার না হয় তাহলে অতীতে যে সমস্ত নির্বাচন কমিশন কাজ করছে তাদের যে হাল হয়েছে, এদের সেই একই হাল হবে। তারা কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। সেই কারণে এই নির্বাচন কমিশন কী বললেন না বললেন তাতে আমাদের জাতির খুব একটা যায় আসে না।’
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, সংসদ বিলোপ করা এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা।
এ সময়ে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আকরামুল হাসান, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটির সহসভাপতি ইয়াছিন আলী, সংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর এসএম জিলানী ও রাজীব আহসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি।



This post has been seen 121 times.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১