শিরোনাম: ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতে উত্তাল মধ্যপ্রাচ্য, বেড়েই চলেছে হতাহতের সংখ্যা
মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘদিনের উত্তেজনার সূত্র ধরে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। গাজা উপত্যকা এবং ইসরাইলি সীমান্তে গত এক সপ্তাহে নতুন করে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে অন্তত ৩৫০ জন, যার মধ্যে অধিকাংশই ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই হাজার।
২০২৫ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে হামাস পাল্টা রকেট হামলা শুরু করে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) দাবি করেছে, তারা হামাসের সামরিক ঘাঁটি এবং অস্ত্র গুদাম লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনপন্থী মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, এসব হামলায় বহু বেসামরিক বসতবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং শিশু ও নারীরাও নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই সংঘর্ষ মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনছে। বেসামরিক জনগণের জীবন রক্ষার স্বার্থে উভয় পক্ষকে সংযম অবলম্বন করতে হবে।”
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ — বিশেষ করে ফ্রান্স, তুরস্ক, কাতার এবং মিশর — মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর শান্তিচুক্তি হয়নি।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “ইসরাইল তার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। গাজা থেকে রকেট হামলা বন্ধ না হলে অভিযান চলতেই থাকবে।”
হামাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করছে। যতদিন অবরোধ ও দমননীতি চলবে, ততদিন প্রতিরোধ চলবে।”
গাজা উপত্যকায় খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা প্রবেশাধিকার চেয়ে আহ্বান জানালেও নিরাপত্তাজনিত কারণে এখনো ত্রাণ কার্যক্রম সীমিত। হাসপাতালগুলোতে জ্বালানির অভাবে চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যুদ্ধ শুধুমাত্র সামরিক নয় — এটি রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং মানবিক সংকটেও পরিণত হয়েছে। যদি দ্রুত কোন কূটনৈতিক সমাধানে না পৌঁছানো যায়, তবে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে এর প্রভাব বিস্তার লাভ করতে পারে।
উপসংহার:
বর্তমান সংঘাত কেবল ইসরাইল ও ফিলিস্তিন নয়, বরং পুরো বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্যই এক বড় চ্যালেঞ্জ। শান্তি ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।
ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |