সৌদি সফর শেষে কাতারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঐতিহাসিক সফর: অর্থনৈতিক চুক্তি ও কূটনৈতিক বিতর্কের সমন্বয়

সৌদি আরব সফর শেষে ২০২৫ সালের মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর সম্পন্ন করেছেন। এই সফরে তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা চুক্তি

সফরের অন্যতম প্রধান অর্জন ছিল কাতার এয়ারওয়েজের সঙ্গে বোয়িং কোম্পানির মধ্যে ১৬০টি বিমান কেনার চুক্তি, যার মূল্য প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার। এটি বোয়িংয়ের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ অর্ডার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ।Reuters

বিতর্কিত উপহার ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

সফরের সময় কাতার সরকার ট্রাম্প প্রশাসনকে একটি বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭-৮ বিমান উপহার দেয়, যা ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছে। এই উপহারটি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা নিরাপত্তা ও নৈতিকতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ।WSJ

সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন

কাতার সফরের আগে ট্রাম্প সৌদি আরবে সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্তটি আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে ইসরায়েল ও ইরান এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে ।

উপসংহার

ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাতার সফর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থানকে পুনঃস্থাপন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে উপহার গ্রহণ ও সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন নিয়ে উদ্ভূত বিতর্ক তার প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।